valobasar kobita
valobasar kobita,valobasar kobita bangla,valobasar kobita download,valobasar kobita in bengali,valobasar kobita photo,valobasar kobita rabindranath,valobasar kobita sms,বাংলা প্রেমের কবিতা pdf,বাংলা প্রেমের কবিতা জয় গোস্বামী,বাংলা প্রেমের কবিতা সমগ্র,বাংলা প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ,বাংলা প্রেমের কবিতা হুমায়ূন আহমেদ,বাংলা প্রেমের কবিতার লাইন স্ট্যাটাস,
তবু কেন শীতকাল আসে?
হিমেল হাসান বৈরাগী
হৃদয়ে প্রেম নেই, নারী নেই বালিশের পাশে
দরজা-জানালা চিরে তবু কেন শীতকাল আসে?
শান্তি নেই, তৃপ্তি নেই কান টুপি পরে আছি তবু
এইসব নি:সঙ্গ যুবকেরে শীতকাল কেন দাও প্রভু?
গতবার শীত ছিলো আমুদে, মনে আছে রানা?
তোর এক প্রেমিকা ছিলো, কী যেনো ফারজানা!?
এখনো কি ওর কাছে যাস?
দাঁত কাঁপা শীত পড়ে গেলে,
বুকে তার আগুন তাপাস?
বাগানে কুসুম রোদে কে যে কার হাত ধরে থাকে
মেয়েটির বাবা কেন শাসিয়েছে ছেলেটির মা’কে?
আমি সব লিখে রাখি শিশিরে ও ঘাসে
দরজা-জানালা চিরে তবু কেন শীতকাল আসে?
মুখোশ
হিমেল হাসান বৈরাগী
বয়স বাড়ে, বয়সের কী দোষ ?
সব বয়সের আলাদা মুখোশ ।
আমিও ঠিক বদলে নিতে পারি
যখন যেটা যতটা দরকারী।
অস্থি এবং অনুভবের পুরোনো আয়না
মুখোশ ছাড়া মানুষগুলো সুশ্রী দেখা যায়না ।
শীতের রাতে ঝরা পাতাও সম্ভাবনাময়
মৃত মানুষ সে-ও জানে মুখোশ-ই সঞ্চয় ।
আর্তনাদের প্রথম পাতায় সমূহ সংবাদে
উৎপীড়নের নিজস্ব চোখ মুখোশ পড়েই কাঁদে ।
দিগন্তে যার আদিগন্ত ব্যথার আগুন জ্বলে
কেন তাকে আড়াল করো বিস্মৃত বল্কলে ?
মন মানলেও মানতে নারাজ বিস্ফোরক এ দেহ
চোখ খুললেই জেগে ওঠে ঈশ্বরে সন্দেহ ।
রক্তে ব্যকুল গোঁয়ার্তুমি, উপচে অভিযোগ
যতবার যোগ করে যাই, তুমি তার বিয়োগ ।
পালটা ছোবল দিতে গেলেও বিষ থাকা চাই দাঁতে
খড়ের মতো পুড়ছে শরীর দেখাবো সাক্ষাতে ।
প্রতারক নই, সামান্য লোক, অল্পকিছু মানুষ ছিলেম বটে
ভীষণ রকম কষ্টে আছি, মুখোশের সংকটে।
ব্যর্থ কাব্য
হিমেল হাসান বৈরাগী
গ্লাস ভর্তি একাকীত্ব
চাঁদ ডুবেছে জলে
কেমন আছো – হে কবিত্ব
দূরের মফস্বলে?
দাঁতের পাটি নিকোটিনময়
জাতে তুলবে কে?
শকুন নাচে, সিংহ ঘুমোয়
বোকাদের রাজ্যে।
হাড় গিলছে বিক্ষত রোদ
আগুন খুঁজছে ছায়া,
শ্মশান আঁকছে মৃতদের ক্রোধ
ঈশ্বর-ও বেহায়া।
পায়ে ঠেলছি ভূগর্ভবিষ
ঘা’য়ে বসছে মাছি
মুমূর্ষ প্রাণ ভরসা রাখিস
কথা বলবে গাছ-ই।
বহনযোগ্য ব্যর্থ কাব্য
বিকিয়ে দেবো ফ্রী’তে,
শোকাশ্রু চোখ, একাই কাঁদবো
আকারে-ঈঙ্গিতে।
দাবার বোর্ডে নৌকো বাধা
ধ্বজভঙ্গ সৈন্য,
মন্ত্রী-আমলা আর পেয়াদা
ভ্রষ্ট ও বিপন্ন।
বুড়ো কবি অর্ধসত্য
তরুণ কবির ঘর নেই,
রাজা খুঁড়ছে প্রজার গর্ত
গণতন্ত্রের ধড় নেই।
আমি যেখানেই যাই সঙ্গে যায় আমার ছায়া আর মাতৃভাষা।
হিমেল হাসান বৈরাগী
একটি কুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ফিরতি পথে কুকুরটি বললো- “ঘেউ ঘেউ ঘেউ” যার অর্থ দাঁড়ায়- যেদিক দিয়ে এসেছিস ওইদিক দিয়েই ঢুকিয়ে দেবো। শালা মূর্খ, ভদ্রতা শিখিস নি? ”
জুম্মাবার! দুপুরে খেতে বসেছি। মা, ভাতের থালায় প্রথমে করলা ভাজি পরে একে একে লালশাক, ছোটমাছ আর শিং মাছ তুলে দিলেন। বাবা, খাবার মধ্যেই বলে উঠলেন – “হিমেল! ইউ আর মাই লস প্রজেক্ট।” মাখানো লঙ্কা থেকে হলুদ-মরিচ-পেঁয়াজ সব আলাদা হয়ে যাচ্ছে। শিং মাছটিকে মনে হচ্ছিলো মায়ের প্রথম প্রেমিক। বাবার সাবেক প্রেমিকাকে দেখে সন্তানেরা রোমাঞ্চিত বোধ করলেও বোন আর মায়ের প্রেমিককে কখনোই মেনে নিতে পারেনা। মিডিলক্লাস সেন্টিমেন্ট এমন ই।
গোটা ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কথা আপনারা সকলেই জানেন । অথচ, ফ্যামিলি মেনে না নিলেও সুবিমল-মুনিয়ার প্রেম আজ আট বছরে দাঁড়ালো। এই খবরটি একমাত্র আমিই জানি।
এদেশের লিটল ম্যাগওয়ালারা আমার ভাষায় ‘ফাদার-ফাকার’ কুকুরের ভাষায় ‘ঘেউ ঘেউ’। এরা আমার কবিতা ছাপায়। সুচিপত্রে লিখে “সাধারণ শিক্ষার্থী “। ইচ্ছে করে শার্টের কলার চেপে ধরে বলি “কবিতা কি গরুর পোঁদ দিয়ে বেরোয়? ইউ হ্যাভ টু নো দ্যাট সাধারণ শিক্ষার্থী’রা কবিতা লিখতে জানেনা।”
লেইট অটামে প্রেমিকারা মাতৃভাষায় কাঁদে আর বলে, ” আমাদের সময়গুলো দুর্দান্ত ছিলো, আমি কখনোই তোমাকে ভুলতে পারব না। কিন্তু আমাদের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেবে না”। আমিও প্রেয়সীর মুঠোবার্তা পেলাম। সে লিখেছে- “এভ্রিথিং ইজ ওভার, ডোন্ট টেল মি বাবুনি”।
আজকাল বাংলা ভাষায় আমাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। বিচ্ছেদের সময় আমরা ইংরেজী বাক্য ব্যবহার করি। বিদায়কে আধুনিকায়ন করতেই বোধহয় এমনটা ঘটছে।
চুমু বিষয়ক একটি আক্ষেপ
হিমেল হাসান বৈরাগী
কবে যে শেষ চুমু খেয়েছিলাম মনে নেই
হয়তো জন্মেরও বহু বছর আগে, সম্ভবত শায়েস্তা খাঁ’র আমলে
তখন চাল ও চুমুর দর ছিলো সস্তা।
এরপর তো কতশত বছর পেরিয়ে গেলো
পর্তুগিজ এলো, ইংরেজরা এলো
ভারতবর্ষ ভাগ করে দিয়ে চলেও গেলো সাতচল্লিশে,
দিনেদিনে
বাংলাদেশর স্বাধীনতার বয়েস ৪৫ পেরিয়েছে
প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে প্রেম-স্পর্শ
আমার ঠোঁটে জমে আছে মধ্যযুগের অলস ধুলোময়লা
এত বছরেও কাওকে চুমু দিতে পারি নি
আরো কত বছর চলে যাবে কে জানে?
এই একবিংশ শতাব্দিতেও চুমু এত দুর্লভ হবে জানলে
এমন দু:সময়ে জন্মাতাম না।
নারী’কে
হিমেল হাসান বৈরাগী
কা-পুরুষ চেনে জমি এবং যোনি
খুলে ফেলো সমস্ত বন্ধনী ।
চুড়ি ফেলে চাপাতি নাও নারী
ধারালো হোক রেশমি সুতোর শাড়ি
ওড়নাটা’তেও ভুলোনা শান দিতে
মেরে মেরে লাশ ফেলো নদীতে ।
আমার মা একটি কবিতা লিখুক
হিমেল হাসান বৈরাগী
আমি চাই, আমার মা একটি কবিতা লিখুক
কুসুমকুমারী দাশ কিংবা সুফিয়া কামালের মত করে নয়
একদম নিজের মত করে।
যেভাবে তিনি বুঝেন- একটি তরকারিতে কতটুকু নুনের প্রয়োজন
তেল এবং পেঁয়াজের মিশ্রণে কিভাবে একটি অমৃত পরিবেশন করতে হয়।
তোশকের নিচে জমানো টাকায় বৃদ্ধ শ্বশুরের ঔষধের জোগাড় তিনিই করেন
তিনি জানেন সংসারে বৃদ্ধ কবিতাগুলো কত অসহায়!
বেহিসেবি ছোটছেলের বৈরাগীত্বে বড্ড বেশী আপত্তি তাঁর
দুর্মূল্যের বাজারে দূর্বোধ্য কবিতার ব্যাঞ্জনা তিনি বুঝেন।
আমি চাই এমন একটি কবিতা আমার মা লিখুক।
অষ্টাদশী বালিকার সংসারে অভিষেক,
তারপর দুইযুগের মধ্যবিত্ত সংসারে-
অসংখ্য কবিতার বেড়ে ওঠা ও ঝরে পড়ার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী তিনি
আমি চাই এমন-ই একটি কবিতা আমার মা লিখুক।
স্টিলের আলমারি খুললেই ধেয়ে আসে ন্যাপথালিন বায়ূ
খুব যতনে আগলে রাখা কচুয়া রঙের শাড়ি, বাবার পাঞ্জাবী,
পৈতৃকভাবে পাওয়া কয়েককাঠা জমির ধূলাবৃত দলিল
আমি ঠিক এমন কিছু কবিতার কথা বলছি।
আমি চাই এমন একটি কবিতা আমার মা লিখুক।
মাস শেষে বাড়িভাড়া, কারেন্টবিল, মাস্টারের বেতন,
সমস্তকিছুর টানটান হিসেব তিনি যেভাবে করেন
ঠিক সেভাবেই তিনি একটি কবিতার হিসেব কষবেন।
আমি চাই এমন-ই একটি কবিতা আমার মা লিখুক।
তুমি চলে যাবে
হিমেল হাসান বৈরাগী
কবিতায় মন নেই, শব্দরা অনুগত নয়
কিবোর্ডেও আঙুল বসছেনা ঠিকঠাক
তুমি চলে যাবে জেনেও কী রকম স্থির হয়ে বসে আছি
আমার ভেতরে কোন মিনতি নেই, যন্ত্রনা নেই
বিষাদের দরজা ঠেলে এত সহজেই তুমি চলে যাচ্ছো যেনো,
আমাদের কোন স্মৃতি নেই, চেনা শরীরের কোন ছায়া নেই।
আমাকে ছাড়িয়ে তুমি যেখানেই যাও, জানি সুখি হবে
অনুকূল হাওয়ায় উড়াবে সপ্তপদী কেশ, জেদী শাড়ির আঁচল।
তুমি চলে যাবে জেনেই হয়তো
বড় বেশি বেমানান লাগে চারপাশ।
তুমি চলে যাবে জেনেই সপ্তাহ জুড়ে লাগাতার বর্ষন,
জনজীবনে নেমে আসছে অস্বস্তি।
তুমি চলে যাবে জেনে আপন সূচিপত্র ছিঁড়ে ঠোঙা বানিয়েছি,
চানাচুর ভাজার মতো চিবিয়ে খেয়েছি স্বপ্নের অন্তর্গত স্বপ্নকে।
তুমি চলে যাবে,
প্রথম আলো জানবে না
বাংলাদেশ বেতার, দয়েৎসেভেলে জানবে না
শুধু জানবো, আমি একা হয়ে গেছি।
তোমাকে ও তোমাদের
হিমেল হাসান বৈরাগী
তোমাকে ও তোমাদের শোনাবো, দু একটি মৃত্যুর গান
আমাকে জিজ্ঞেস করো না- ‘ভালোবাসা’ কার সন্তান ?
নিবিড় বিনয়ে আমি তো পারিনি কোনদিন-
চিঠি লিখে জানাতে তোমাদের, ‘ভালোবাসা’ কত যে কঠিন !
মিছেমিছি, দাবার ঘুঁটির মত সাদা-কালো ঘর থেকে ঘরে
হৃদয় দিয়েছি সঁপে তোমাকে ও তোমাদের ছুঁচালো অন্তরে।
আঘাত পাইনি , ব্যথার মতো অনুভব নেই আর
ডেকে নেবো , ভালোবেসে তোমাকেই ডেকে নেবো- হে অন্ধকার!
ভয়ংকর পূর্বাভাসে একদিন চলে এলে শীত
তোমাকে ও তোমাদের শোনাবো, নিজস্ব মৃত্যুর গীত ।
‘জীবন’ ভালোবেসে সকলেই মৃত্যুর কাছে যায়
হুট করে চলে গেলে আমাকেও জানিও বিদায় ।
- Valobashar Romantic Kobita Bangla
- Bangla Jokes Sms 2020
- Bangla Boltu Jokes SMS
- Very Funny Bangla Jokes SMS
- Best Friend Bangla Facebook Status
- Bangla Status Best
- Bangla Koster Status Pic
- Quotes On Life 2 Line
- Best Text Quotes About Life
- Life Quotes For Better Life