premer kobita bangla collection
Premer kobita Bangla collection,Bangla sad valobashar kobita, Bangla valobashar kobita lyrics,p,e,premer kobita Bangla lyrics,শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা pdf,রোমান্টিক প্রেমের কবিতা,বাংলা প্রেমের কবিতা,আধুনিক প্রেমের কবিতা,সেরা প্রেমের কবিতা,বিখ্যাত প্রেমের কবিতা,premer kobita bangla collection,
স্পর্শ
শাহীন ভূঁঞা
তুমি ছুঁয়ে দিলেই শুদ্ধ হয় আমার জীবন,
এক চিলতে মেঘ হতে গলতে থাকে জল,
পৃথিবীতে ঝরে পড়ে তুমুল বৃষ্টি;
তুমি ছুঁয়ে দিলেই পাহাড় থেকে নামে ঝর্ণা,
অরন্যের বুকে আসে সুকোমল সতেজতা,
গাছ-পালা ভরে যায় ডালে ডালে;
তুমি ছুঁয়ে দিলেই এ-পৃথিবীতে নামে বসন্ত,
সেবাদাসী হয়ে নামে দখিনের বাতাস,
পাখিরা সুমধুর কন্ঠে গায় গান ;
তুমি ছুঁয়ে দিলেই মরা গাঙ্গে নামে জোয়ার,
সমুদ্রের বুকে জাগে উপচে পড়া ঢেউ,
নদীর তীরে জেগে ওঠে নতুন চর;
তুমি ছুঁয়ে দিলেই কবিতায় ফুটে ওঠে চিত্র,
কবিতা খুঁজে পায় ভাষার নতুন ব্যঞ্জনা,
রচিত হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এক মহাকাব্য।
মানুষের হিংস্র চোখ
শাহীন ভূঁঞা
পাখির বিলুপ্তি দেখে তোমাকেই সুর দিতে বলি
কথারা সঙ্গীত হোক, ঠোঁটগুলো গানের বাহন ।
একদিকে কাহারবা, অন্যদিকে ঋতুর অঞ্জলি,
তারি মাঝে ভাব-ভঙ্গি, তাল লয়, সুরের বর্ষণ ।
তোমারই গান শুনি । কোমল মেলোডি সুরকার
সে-সুর ধারণ করি প্রাণে, কণ্ঠ ধরেছি ফাগুনে
নির্লিপ্ত সময়ে তুমি সুরতোলা-সুরেলা ঝংকার
গাও, গাও, চুপচাপ তোমাকেই যেতে চাই শুনে ।
ইচ্ছার ধ্বংসের মতো পড়ে আছে পাখির নিবাস
তোমাকে কি নামে ডাকি, ময়না, নিস্তব্ধ হই শোনো,
পাখির পালক দেখে ফেলেছো কি বড় দীর্ঘশ্বাস?
ফুটন্ত ফাগুনে তবে মনকড়া সুর হও — কোনো ।
মানুষের হিংস্র চোখ যেন এই আকালের বেলা,
পাখিদের সুর নেই । অন্যদের বসে গেছে মেলা ।
চাঁদ জুয়াড়ী
শাহীন ভূঁঞা
একদিন পৃথিবী এসেছে—তোমার আমার খুব কাছাকাছি
শরাবের পেয়ালা তখন ঢুলুঢুলু নেশায় ফোটালো ফুল;
কবিতার দু’হাতে সেদিন তুলে দিলে আশৈশব কানামাছি,
যেন নক্ষত্রের বুকে চিহ্ন রেখেছে তোমার ধ্রুপদী আঙুল ।
সেদিন রৌদ্রের শ্বাস ছিঁড়ে আমাকে দিলে কবিতার শহর,
নিমগ্নতার এ-পৃথিবীতে— দু’জনে ছিলাম সবচেয়ে দামী;
ক্ষুধিত জলের পৃষ্ঠ ছুঁয়ে আকাশে পাঠালে নীরব প্রহর,
এসেছি দিবান্ধ হয়ে যেন এই পৃথিবীতে তুমি আর আমি ।
অল্পকথার কতো কল্পনা বসেছিলো তোমার আমার চোখে,
উদাস বাতাসে লিখেছিলো কুমারীয় মনের যতো কামনা;
শব্দের তরঙ্গ তুলেছিলো আঙুল যেন তোমার সেই নখে,
যেখানে নিশ্চুপ রুদ্রতায় মৃত কপাট খুলে দিয়েছে হানা ।
হয়তো ঝুলন্ত সিথানে বসে আবার হবে আমার সেই নারী,
যেদিন নেশার পেয়ালায় ঝরাবে জ্যোৎস্না তুমি চাঁদ জুয়াড়ী ।
চোখ
শাহীন ভূঁঞা
চোখ দু’টি ঠিক জানে প্রণয়ের সঠিক ঠিকানা
দিনরাত, কালব্যাপী পলক প্রণয় শুধু খোঁজে
দৃষ্টিতে তোমাকে পাই; যদিও বা আজও অজানা
তবুও ভেতরে যেন ঘুরে ছায়া, স্থির চতুর্ভুজে ।
আমার আহ্নিক চোখে তুমি যেন এক মোহছায়া
নড়াচড়া করো শুধু, আরো যেন কত মাতামাতি;
এভাবেই দিন যায়, আস্তে আস্তে বেড়ে যায় মায়া
তোমাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় কত দিনরাতি ।
এ-মদির চোখে তুমি চারু কারুকার্জ ছাপচিত্র
আমার এ-স্বপ্নচিহ্নে তুমিতো অদেখা এক রূপ;
দেখে দেখে ঘুম ভাঙে-বহুবর্ণ নিজের বৈচিত্র্য
যেন মেলে ধরো তুমি; মহাকাল দেখে খুব চুপ ।
যতোদূর চোখ যায়—তোমাকেই শুধু খুঁজে পায়
অন্ধকারে বন্দী মন, তবু যেন ভরা পূর্ণিমায় ।
তিস্তার অসুখ
শাহীন ভূঁঞা
ফারাক্কা বাঁধের জালে বেড়ে গেছে তিস্তার অসু্খ
রৌদ্রঝরা দিন শেষে কেঁদে ওঠে ফসলের জমি,
নদীর করুণ শোকে শ্বাস ফেলে জলজ শুশুক
গঙ্গার পূজারী খোঁজে সভ্যতার প্রাণহীন মমী ।
গঙ্গা তো নদীর মাতা, সঞ্জীবনী জলের বাহার
শস্যের আহার দিয়ে ক্রমাগত বাড়ায় ফলন
ফারাক্কা বাঁধের জালে বন্ধ আজ শস্যের আহার
জনপদে শূন্যজল … বালুকণা জলের দ্রবণ ।
খরা এই নদীজলে বলো নারী আর কতোকাল
আমরা সিনান করি, মিল গড়ি পংক্তির চয়ন;
শুকায় দিঘীর জল, মরে গেছে সতেজ মৃণাল
খেলে না এ-নদী জলে উদ্বেলিত সতেজ যৌবন ।
খরা মরা নদী পথে— তুমি নারী উড়াও আঁচল
খরার ফাটল বেয়ে আবার নামুক ভরা জল ।
হাসনাহেনার ঘ্রাণ
শাহীন ভূঁঞা
এখনো নিগূঢ় রাতে আমাদের বাগানের পাশে
উন্মুখ হৃদয় নিয়ে ছুটে যাই আমি দ্বিধাহীন,
হাসনাহেনার ঘ্রাণ নিই । জানি আমি প্রতিদিন
এখানে এমন রাত ভর করে বিশুদ্ধ বাতাসে ।
কখনো এমন রাতে ভাবনার লগ্ন ফিরে আসে
বৃত্তাবদ্ধ এ-জীবনে । মগ্নতার মন্দিরে, মলিন
জীবন সৌরভ স্বাদে হয়ে ওঠে স্নিগ্ধ, অমলিন;
উন্মুখ হৃদয়ে শুধু হাসনাহেনার ঘ্রাণ ভাসে ।
হাসনাহেনার ঘ্রাণ আজ রাতে করেছে উন্মন,
অস্থির আমাকে আর মদির সৌরভে মনে পড়ে
তোমার দেহের ঘ্রাণ; যেই ঘ্রাণে আমার এ-মন
ফুলকলি মেলেছিলো বাউণ্ডুলে বাসনার ঝড়ে ।
সেদিনের সেই স্মৃতি আজ মনে পড়েছে এখন
তোমারই ভাবনায়—এই সান্দ্র রাতের প্রহরে ।
তুমি, হে প্রেয়সী
শাহীন ভূঁঞা
কোথাও যাবো না আর; এইখানে সবুজাভ ঘাস
আমাকে নিকটে টানে । টানে নদী টানে বনভূমি,
বর্ষার কদম টানে । টানে কাছে পথের দু’পাশ,
উচ্ছল ঝর্ণার ঢেউ, টানে বৃষ্টি, টেনে ধরো তুমি ।
নিসর্গের নানা বাহু —দিকে দিকে বাড়ায় আঙুল
বাড়িয়ে দিয়েছে দ্যাখো ছুঁয়ে দিতে কবির হৃদয়
তাইতো কোথাও আর রাখি না পা, ভীষণ, তুমুল
মুগ্ধতার আলোড়নে দেখে যাই এই লোকালয় ।
যাবো না কোথাও আর; এখানেই পাইবে আমাকে
মল্লিকার মর্ম দেখে হয়ে যাবো কোন প্রজাপতি;
কারোরই সাধ্য নেই যে-দৃশ্য আমাকে দূরে রাখে
যখন তোমাকে দেখি খুঁজে পাই জীবনের গতি ।
এ-দেশ আমাকে টানে আর টানে তুমি, হে প্রেয়সী
সব আয়োজন সেরে এসো আজ মুখোমুখি বসি ।
নিমন্ত্রণ
শাহীন ভূঁঞা
এমন দুঃসহ দিনে—চলে এসো আমার এ-ঘরে
বাসনার অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে রেখেছি সেই কবে;
কী হবে দরজা আর জানালার পাট বন্ধ করে?
এখনও কতো কথা ঝুলে আছে হৃদয়ে নীরবে ।
এখন বসন্ত কাল, গাছে পাতা-ঝরা গান বাজে
পলাশ-শিমুল ডালে কাকদের কর্কশ ব্যঞ্জনা;
সঙ্গীতের সুর পাবে—পায়ে নূপুরের কারুকাজে
কোকিলের কুহুধ্বনি আজকাল শুধুই কল্পনা ।
প্রকৃতি এখন দ্যাখো—আগুনের মতোই উদ্ধত
বাতাস কাঁপছে যেন খুবই অসুস্থ আলোড়নে;
সুশীল সমাজ শুধু টকশোতে মেতে থাকে যত
বৃক্ষের করুণ কথা কেউই ভাবে না আর মনে ।
দিন যায় রাত আসে, ঋতুর পাখিরা আঙিনায়
নীরবে শুনিয়ে যায় প্রাণহীন প্রকৃতির গান;
এমন দুঃখের দিনে তুমি এসো, বেলা বয়ে যায়
দুঃখের ঘরকে করো পুষ্পময় প্রাণের বাগান ।
পরিচিতি
শাহীন ভূঁঞা
যখন শিশির ফোটা ঝরে পড়ে কার্তিকের ঘাসে
আবার দুপুর হলে মিশে যায় ভেজা বাতাসের
সাথে, তখন তোমাকে মনে পড়ে, মনে পড়ে ফের
মায়াময় মুখচ্ছবি, গন্ধ ঝরা চুলের বিন্যাসে ।
কুয়াশার ভেজা ঘাসে স্নিগ্ধ ভরা সে এক মাঠেই
দু’জনার হলো দেখা; হীরকফোঁটার সে-ফোঁটায়
তোমার ভেজানো হাত এই হাতে রাখা; দু’জনায়
বসে থাকা আনমনে; ভোলা যায় অতি সহজেই?
আবার কখনো যদি দেখা হয়, কিংবা ফিরে আসি
ঘাসেদের এই মাঠে, কিংবা তার চেয়ে কিছু দূরে,
আমার অচেনা মুখ জাগবে কি মনের মুকুরে,
অথবা ঘাসের বুকে ফেলে আসা আনন্দের রাশি
পড়বে কি মনে আর কোনদিন যেমন দুপুরে
উঠেছিলে তুমি ফুটে সবুজ এ-ঘাসে পাশাপাশি ।
শরৎ ও আমি
শাহীন ভূঁঞা
এখন কোথায় তুমি? ফোঁটে রঙ, হে প্রিয়ভাষিণী,
আকাশ রেখেছে কথা, শপথে শামিল শাদা মেঘ;
সুরের সেতার বলে, বলো দেখি, আমি কি বাজিনি?
ফুটেছে শিউলি ফুল; মেলাও না তবুও আবেগ ।
পুরনো শিউলিমালা পড়ে আছে বিছানার পাশে
তাতে কি সুগন্ধ লাগে? ছিন্ন ফুল, যেন কোন স্মৃতি ।
কাশবন জেগে ওঠে হাসে, ভেজা, বাউল বাতাসে—
দোল খায়; আর তুমি, তুমি ভাঙো তোমারই রীতি ।
ধোঁয়া ও ফেনার দাগে ভরে আছো কি করে ও হাত?
চোখ মেলে চেয়ে দেখি অপব্যয়ী আগুনের শিখা
এখনো চুলায় জ্বলে । ধোঁয়া যেন গন্ধময় । রাত ।
তুমি কি কামিনি নও, অন্য কোনো এক মানবিকা?
প্রকৃতি আমাকে ডাকে ফুলে-নীলে, আমি কি আসিনি,
স্নিগ্ধ হয় দেহ মন, তৃপ্ত চোখ, হে প্রিয়ভাষিণী !
- Valobashar Kobita Bangla Font
- Valobasar Kobita
- Valobashar Romantic Kobita Bangla
- Bangla Jokes Sms 2020
- Bangla Boltu Jokes SMS
- Very Funny Bangla Jokes SMS
- Best Friend Bangla Facebook Status
- Bangla Status Best
- Bangla Koster Status Pic
- Quotes On Life 2 Line